মানুষের সুস্বাস্থ্য আল্লাহর নেয়ামত

সুস্বাস্থ্য মানুষের জন্য মহান আল্লাহর একটি নেয়ামত। ইসলামে মানুষের সুস্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসলামী জীবন বিধান সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা বিধান করে। মুসলমানরা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। নামাজের মাধ্যমে মানুষের মন যেমন পবিত্রতার পরশ লাভ করে তেমন তা সুস্বাস্থ্যের সহায়ক বলেও বিবেচিত। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। ইবাদতে মনোনিবেশের জন্য দেহ ও মনের সুস্থতার প্রয়োজন অনিস্বীকার্য। যে কারণে ইসলামে সুস্থ থাকার জন্য উৎসাহ সৃষ্টি করা হয়েছে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘দুর্বল মুমিনের তুলনায় শক্তিশালী মুমিন অধিক কল্যাণকর ও আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। তবে উভয়ের মধ্যে কল্যাণ রয়েছে।’ (মুসলিম শরিফ)। মানুষের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো স্বাস্থ্য। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেয়ামতের দিন বান্দাকে নেয়ামত সম্পর্কে সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করা হবে তা হলো তার সুস্থতা সম্পর্কে। তাকে বলা হবে আমি কি তোমাকে শারীরিক সুস্থতা দিইনি? (তিরমিজি)।

ইসলামী জীবন বিধান সুস্থতার সহায়ক বলে বিবেচিত। তারপরও যে কোনো মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। অসুস্থ হলে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাতে হবে। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে অসুস্থ হলে চিকিৎসা গ্রহণ করতেন। অন্যদেরও উৎসাহিত করতেন। রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘হে আল্লাহর বান্দাগণ তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ কর। কেননা আল্লাহ এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি যার প্রতিষেধক তিনি সৃষ্টি করেননি। তবে একটি রোগ আছে যার কোনো প্রতিষেধক নেই, তা হলো বার্ধক্য।’ (আবু দাউদ)। আমাদের সবারই উচিত মহান আল্লাহর নেয়ামত স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখা। অসুস্থ হলে চিকিৎসা গ্রহণ করা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়ার তাওফিক দান করুন।